করপোরেট জীবনের অলিগলি আর সেলসম্যানশিপের এক অনবদ্য দর্পণ
আপনি কি জানেন, জীবনের সবচেয়ে বড় ডিলগুলো বোর্ডরুমে নয়, বরং মানবিক সম্পর্কের জোরেই ক্লোজ হয়? করপোরেট দুনিয়ায় টিকে থাকার জন্য কেবল 'নাম্বার' বা 'টার্গেট'ই শেষ কথা নয়, প্রয়োজন ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স বা আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা।
তানভীর শাহরিয়ার রিমন রচিত ‘আমি একজন সেলসম্যান’ গতানুগতিক কোনো ম্যানেজমেন্ট বই নয়। এটি একটি জীবনঘনিষ্ঠ আখ্যান। গল্পের নায়ক একজন সিইও, যিনি তার জুনিয়র কলিগ নাভিনকে টার্গেট মিস করার অপরাধে ছাঁটাই করেন না, বরং তার ব্যক্তিগত জীবনের ভাঙন ও হতাশার সময়ে পাশে দাঁড়ান বড় ভাইয়ের মতো।
গল্পের পরতে পরতে উঠে এসেছে করপোরেট পলিটিক্স, বসের অযৌক্তিক চাপ, আর তার মাঝেও মানবিকতা বজায় রাখার সংগ্রাম। লেখক দেখিয়েছেন কীভাবে একজন সিএনজি চালক জাহাঙ্গীর বা বাজারের সাধারণ মানুষও আমাদের শেখাতে পারে সততা ও ডেডিকেশনের চূড়ান্ত পাঠ। লেখকের ভাষায় জীবনের তিনটি মন্ত্র—পারপাস, প্যাশন এবং প্রফিট—কীভাবে সাধারণ এক সেলসম্যানকে অসাধারণ লিডারে পরিণত করে, তা এই বইয়ে চিত্রিত হয়েছে নিপুণভাবে।
কেন এই বইটি আপনার সংগ্রহে থাকা জরুরি?
✅ করপোরেট ও মানবিকতার মেলবন্ধন: শিখবেন কীভাবে রোবট না হয়েও করপোরেট কালচারে সফল হওয়া যায়।
✅ ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (EI): কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের মন জয় করার এবং টিম বিল্ডিংয়ের জাদুকরী সব কৌশল।
✅ বাস্তব জীবনের শিক্ষা: বইটিতে কাল্পনিক গল্পের মোড়কে উঠে এসেছে লেখকের দীর্ঘ করপোরেট জীবনের অভিজ্ঞালব্ধ সব সত্য ঘটনা।
✅ নেতৃত্বের নতুন সংজ্ঞা: যারা নিজেদের বস নয়, বরং একজন সত্যিকারের 'লিডার' হিসেবে গড়ে তুলতে চান, বইটি তাদের জন্য।
লেখক পরিচিতি: তানভীর শাহরিয়ার রিমন কেবল একজন লেখক নন, তিনি দেশের শীর্ষ রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং একজন পাবলিক স্পিকার, যিনি জানেন কীভাবে ব্যবসার পাশাপাশি মানুষের হৃদয়ও জয় করতে হয়।
গ্যারান্টি: বইটির মূল প্রকাশক ‘আদর্শ’র কাছ থেকেই বইটি কিনলে পাচ্ছেন সবচেয়ে কম দামে অরিজিনাল বই পাওয়ার নিশ্চয়তা। তাই দেরি না করে বইটি এখনই সংগ্রহ করুন।















